Page 19

Untitled

১৩৭। ইসহাক ইবনু ইবরাহীম আল-হানযালী (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ‘যে ব্যাক্তির হাদস হয় তাঁর সালাত (নামায/নামাজ) কবুল হবে না, যতক্ষন না সে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে। হাযরা-মাওতের এক ব্যাক্তি বলেন, ‘হে আবূ হুরায়রা! হাদস কী?’ তিনি বলেন, ‘নিঃশব্দে বা সশব্দে বায়ু বের হওয়া। ’

১৩৮। ইয়াহিয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) নু‘আয়ম মুজমির (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ আমি আবূ হুরায়রা (রাঃ)- এর সঙ্গে মসজিদের ছাদে উঠলাম। তারপর তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করে বললেনঃ ‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, কিয়ামতের দিন আমার উম্মাতকে এমন অবস্থায় ডাকা হবে যে, উযূ (ওজু/অজু/অযু)র প্রভাবে তাদের হাত-পা ও মুখমণ্ডল থাকবে উজ্জ্বল। তাই তোমাদের মধ্যে যে এ উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে নিতে পারে, সে যেন তা করে। ’

১৩৯। ‘আলী (রহঃ) ‘আব্বাদ ইবনু তামীম (রহঃ)- এর চাচা থেকে বর্ণিত, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর কাছে এক ব্যাক্তি সম্পর্কে বলা হল যে, তার মনে হয়েছিল যেন সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্যে কিছু হয়ে গিয়েছিল। তিনি বললেনঃ সে যেন ফিরে না যায়, যতক্ষণ না শব্দ শোনে বা গন্ধ পায়।

১৪০। আলী ইবনু আবদুল্লাহ (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুমিয়েছিলেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। সুফিয়ান (রহঃ) আবার কখনো বলেছেন, তিনি শুয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নিঃশ্বাসের শব্দ হতে লাগল। এরপর তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। অন্য সূত্রে সুফিয়ান (রহঃ)ইবনু ‘আব্বাদ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেনঃ আমি এক রাতে আমার খালা মায়মূনা (রাঃ) - এর কাছে রাত কাটালাম।

রাতে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ঘুম থেকে উঠলেন এবং রাতের কিছু অংশ চলে যাবার পর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি ঝুলন্ত মসক থেকে হাল্কা উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। রাবী ‘আমর (রহঃ) বলেন, তখন তিনি যেভাবে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করেছেন আমিও সেভাবে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলাম এবং এসে তাঁর বাঁয়ে দাঁড়িয়ে গেলাম। সুফিয়ান (রহঃ) কখনো (বাম) শব্দের স্থলে বলতেন। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে ঘুরিয়ে তাঁর ডান দিকে দাঁড় করালেন। এরপর আল্লাহর যতক্ষণ ইচ্ছা ততক্ষণ তিনি সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। এরপর কাত হয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন, এমনকি তাঁর নাক ডাকতে থাকল। এরপর মুয়াযযিন এসে তাঁকে সালাত (নামায/নামাজ)-এর কথা জানিয়ে দিলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য রওয়ানা হলেন এবং সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন, কিন্তু উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন না। আমরা ‘আমর (রাঃ) –কে বললামঃ লোকে বলে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – এর চোখ ঘুমায় কিন্তু তাঁর অন্তর ঘুমায় না। তখন ‘আমর (রাঃ) বলেন, ‘আমি উবায়দ ইবনু ‘উমায়র (রহঃ) – কে বলতে শুনেছি, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম গনের স্বপ্ন ওহী। এরপর তিনি তিলাওয়াত করেন- ‘আমি স্বপ্নে দেখেছি যে, তোমাকে যবেহ করছি। (৩৭:১০২)

১৪১। আবদুল্লাহ ইবনু মাসলামা (রহঃ) উসামা ইবনু যায়দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ‘আরাফার ময়দান থকে রওয়ানা হলেন। গিরিপথে গিয়ে তিনি সওয়ারি থেকে নেমে পেশাব করলেন। এরপর উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন কিন্তু উত্তমরূপে করলেন না। আমি বললাম, ‘ইয়া রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করবেন কি?’ তিনি বললেনঃ ‘সালাত (নামায/নামাজ)-এর স্থান তোমার সামনে। ’ তারপর তিনি আবার সওয়ার হলেন। এরপর মুযদালিফায় এসে সওয়ারি থেকে নেমে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। এবার পূর্ণরূপে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন। তখন সালাত (নামায/নামাজ)-এর জন্য ইকামাত দেওয়া হল। তিনি মাগরিবের সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন। তারপর সকলে তাঁদের অবতরণ স্থলে নিজ নিজ উট বসিয়ে দিল। পুনরায় ঈশার ইকামাত দেওয়া হল। তিনি ঈশার সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন এবং উভয় সালাত (নামায/নামাজ)-এর মধ্য অন্য কোন সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করলেন না।

১৪২। মুহাম্মদ ইবনু ‘আবদুর রহীম (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি উযূ (ওজু/অজু/অযু) করলেন এবং তাঁর মুখমণ্ডল ধুলেন। এক আঁজলা পানি দিয়ে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে এরূপ করলেন অর্থাৎ আরেক হাতের সাথে মিলিয়ে মুখমণ্ডল ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান হাত ধুলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম হাত ধুলেন। এরপর মাথা মাসেহ করলেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে ডান পায়ের উপর ঢেলে দিয়ে তা ধুয়ে ফেললেন। এরপর আর এক আঁজলা পানি দিয়ে বাম পা ধুলেন। তারপর বললেন, ‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে এভাবে উযূ (ওজু/অজু/অযু) করতে দেখেছিলাম’।

১৪৩। আলী ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ তাঁর স্ত্রীর সাথে মিলনের পূর্বে যদি বল, (আল্লাহর নামে আরম্ভ করছি। আল্লাহ! তুমি আমাদেরকে শয়তান থেকে দূরে রাখ এবং যা আমাদেরকে দান করবে তাকেও শয়তান থেকে দূরে রাখ)- তারপর (এ মিলনের দ্বারা) তাদের কিসমতে কোন সন্তান থাকলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না।

প্রথম পৃষ্ঠা আগের পৃষ্ঠা ২০ ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ পরবর্তী পৃষ্ঠা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

নামাজের গুরুত্ব

নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । প্রথমতঃ নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা...

Popular Posts