page 20

page 20

১৪৪। আদম (রহঃ) আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন প্রকৃতির ডাকে শৌচাগারে যেতেন তখন বলতেন, (হে আল্লাহ! আমি মন্দ কাজ ও শয়তান থেকে আপনার শরণ নিচ্ছি। )” ইবনু ‘আর’আর (রহঃ) শু‘বা (রহঃ) সূত্রেও অনুরূপ বর্ণনা করেন। গুনদার (রহঃ) শু‘বা (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, (যখন শৌচাগারে যেতেন)। মূসা (রহঃ) হাম্মাদ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন, ‘যখন প্রবেশ করার ইচ্ছা করতেন। ’

১৪৫। আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শৌচাগারে গেলেন, তখন আমি তাঁর জন্য উযূ (ওজু/অজু/অযু)র পানি রাখলাম। তিনি জিজ্ঞাসা করলেনঃ ‘এটা কে রেখেছে?’ তাঁকে জানানো হলে তিনি বলেন, ‘ইয়া আল্লাহ! আপনি তাকে দ্বীনের জ্ঞান দান করুন। ’

১৪৬। আদম (রহঃ) আবূ আইয়ূব আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন শৌচাগারে যায়, তখন সে যেন কিবলার দিকে মুখ না করে এবং তার পিঠও না করে, বরং তোমরা পূর্ব দিক এবং পশ্চিম দিকে ফিরে বসবে (এই নির্দেশ মদিনার বাসিন্দাদের জন্য)।

১৪৭। আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘লোকে বলে মল-মূত্র ত্যাগের সময় কিবলার দিকে এবং বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে বসবে না। ’ ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) বলেন, ‘আমি এক দিন আমাদের ঘরের ছাদের উপর উঠলাম। তারপর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখলাম বায়তুল মুকাদ্দাসের দিকে মুখ করে দুই ইটের উপর তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন। তিনি [ওয়াসি (রহঃ)- কে] বললেন, তুমি বোধ হয় তাদের মধ্যে শামিল, যারা নিতম্বের ওপর ভর করে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে। আমি বললাম, ‘আল্লাহর কসম! আমি জানিনা। ’ মালিক (রহঃ) বলেন, (নিতম্বের উপর ভর করার অর্থ হল) যারা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করে এবং মাটি থেকে নিতম্ব না তুলে সিজদা করে।

১৪৮। ইয়াহইয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – এর পত্নীগণ রাতের বেলায় প্রাকৃতিক প্রয়োজনে খোলা ময়দানে যেতেন। আর ‘উমর (রাঃ) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম – কে বলতেন, ‘আপনার সহধর্মিণীগণকে পর্দায় রাখুন। ’ কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা করেননি। এক রাতে ঈশার সময় নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম - এর পত্নী সাওদা বিনত যাম‘আ (রাঃ) প্রাকৃতিক প্রয়োজনে বের হলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘকায়া। ‘উমর (রাঃ) তাঁকে ডেকে বললেন, ‘হে সাওদা! আমি কিন্তু আপনাকে চিনে ফেলেছি। ’ পর্দার হুকুম নাযিল হওয়ার আগে তিনি এ কথা বলেছিলেন। তারপর আল্লাহ তা‘আলা পর্দার হুকুম নাযিল করেন।

১৪৯। যাকারিয়্যা (রহঃ) ‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমাদের প্রয়োজনের জন্য বের হবার অনুমতি দেয়া হয়েছে। ’ হিশাম (রহঃ) বলেন, অর্থ প্রাকৃতিক প্রয়োজনে।

১৫০। ইবরাহীম ইবনু মুনযির (রহঃ) ‘আবদুল্লাহ ইবনু ‘উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘আমি আমার বিশেষ এক প্রয়োজনে হাফসা (রাঃ) – এর ঘরের ছাদে উঠলাম। তখন দেখলাম, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিবলার দিকে পিঠ দিয়ে শাম-এর দিকে মুখ করে তাঁর প্রয়োজনে বসেছেন।

প্রথম পৃষ্ঠা আগের পৃষ্ঠা ২১ ২২ ২৩ ২৪ ২৫ ২৬ ২৭ পরবর্তী পৃষ্ঠা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

নামাজের গুরুত্ব

নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । প্রথমতঃ নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা...

Popular Posts