জামায়াতে নামাজ পড়ার সময় ঈমামের অনুসরণ করার নিয়ত করতে হয়। ঈমাম জোহর ও আসর নামাজে আস্তে কেরাত পড়বে। এছাড়া বাকি সমস্ত নামাজে উচ্চস্বরে কেরাত পড়বে। মুক্তাদীগণ (যারা ঈমামের অনুসরণ করে নামাজ পড়ে) প্রত্যেক রাকাতেই চুপচাপ শুধু শ্রবণ করবে কিছু পড়বেনা। ঈমাম সাহেব "ছামিয়াল্লা-হুলিমান্ হামিদাহ" বলে রুকু থেকে সোজা হলে মুক্তদীরা "রব্বানা লাকাল্ হাম্দ" ও " হাম্দান কাসীরান্ তয়্যিবান মোবা-রকান্ ফীহি" পড়বে। এছাড়া বাকি সমস্ত রুকন আদায়ের সময় ঈমামের সাথে সাথে মুক্তাদীকেও আস্তে তাকবীর বলতে হবে। মুক্তাদীকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যেন ঈমামের সামনে দাঁড়ানো না হয় এবং কোন রুকন ঈমামের আগে আদায় না হয়ে যায়।
মহিলাদের জামায়াত
মহিলাদের জন্য মসজিদের গিয়ে জামায়াতে নামাজ পড়ার চেয়ে বাড়ির ভিতর নামাজ পড়া উত্তম। ইসলামের প্রথম যুগে মহিলারা মসজিদে গিয়ে জামায়াতে নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু পরবর্তী যুগে বিভিন্ন প্রকার ফিতনা ফ্যাসাদ ব্যপক হওয়ার কারণে খুলাফায়ে রাশেদীন ও সাহাবায়ে কিরাম একমত হয়ে মহিলাদের মসজিদ গমনের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। যেহেতু ঘরে নামাজ পড়া মহিলাদের জন্য সর্বাধিক নিরাপদ, তাই মহিলাদের ঘরে নামাজ পড়াই অধিক যুক্তিযুক্ত। বরং মহিলাদের জন্য ঘরের যে কোন স্থানে পড়া অপেক্ষা ঘরের একেবারে নিভৃতে নির্জন স্থানে নামাজ পড়ার অনেক বেশি সওয়াব রয়েছে। তবে যদি কোন স্থানে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যথাযথ পর্যবেক্ষণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করণের দ্বারা চলাচল সম্পূর্ণভাবে ফিতনা মুক্ত ও নিরাপদ হয় তবে মহিলাদের জামায়াতে নামাজ পড়তে কোন অসুবিধা নেই।
ঈমামতির নিয়ত
নিয়ত:
আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামুখী হয়ে; যারা উপস্থিত আছে এবং যারা এখনও উপস্থিত হয়নি সকল মুক্তাদিদের ঈমামতির নিয়ত করছি। আল্লা-হু আক্বার।