তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায

তাহিয়্যাতুল মসজিদের নামায

'তাহিয়্যাতুল মসজিদ' নামাজের নিয়তঃ

বাংলা নিয়তঃ

"আমি দুই রাকাআত তাহিয়্যাতুল নামাজের' নামাজ আদায় করছি।'

নোটঃ

আরবীতে কিংবা বাংলায় মুখে উচ্চারণ করা জরুরী নয়, বরং যে কোনো ভাষায় মনে মনে নিয়ত করাই যথেষ্ট।

নামাজ পড়ার নিয়ম

সাধারণ সুন্নাত ও নফল নামাজের ন্যায় যেকোন সূরা-কিরাত দ্বারা ' তাহিয়্যাতুল মাসজিদ'-এর নামাজ আদায় করা যায়। উভয় রাকাআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলাতে হবে এবং আখেরী বৈঠক আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা সব পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।

'তাহিয়্যাতুল মসজিদ' সম্পর্কে কতিপয় মাসায়েল

কেউ কেউ মনে করেন যে, মাসজিদে প্রবেশ করে প্রথমে একটু বসে তারপর উঠে এই নামাজ পড়তে হয়। কিন্তু তাদের এই ধারণা ঠিক নয়। কেননা নিয়ম হলো বসার পূর্বেই আদায় করা। এর দ্বারা সাওয়াবও বেশী হয়। তবে কিছুক্ষণ বসার পরেও পড়া যায়। কিন্তু এর দ্বারা সাওয়াব কম হয়।

সময় কম হলে করণীয়

যদি কোন ব্যক্তি মাসজিদে প্রবেশ করে দেখে যে, সময় বেশী নেই। এখনর "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" পড়তে গেলে সুন্নাতে মুয়াক্কাদা পড়া যাবে না কিংবা ফরয নামাজ ছুটে যাবে, তাহলে সে তখন "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" পড়বে না; বরং সুন্নাত বা ফরজ নামাজ আদায় করবে এবং সুন্নাত বা ফরয নামাজের মধ্যেই "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" - এর নিয়ত করবে। ইনশাআল্লাহ, এর দ্বারা সুন্নাত এবং ফরয আদায়ের সাথে সাথে "তাহিয়্যাতুল মসজিদ" এর সাওয়াবও লাভ হবে।(আহকামে যিন্দেগী)

তাহিয়্যাতুল অজু ও দুখুলুল মসজিদ এক সাথে আদায় করাঃ

অজু করার পর মাসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাআত নফল নামজ আদায় করার দ্বারা তাহিয়্যাতুল অজু ও দুখুলুল মসজিদ উভয়টি এক সাথে আদায় হয়ে যাবে। কোন কোন কিতাবে উল্লেখ্য আছ যে, মাসজিদে প্রবেশ করে যেকোন নামাজ আদায় করলেই 'তাহিয়্যাতুল মসজিদ' আদায় হয়ে যাবে। অনুরুপভাবে অজু করার পর অজুর পানি শুষ্ক হওয়ার পূর্বে কোন নামাজ আদায় করলেই 'তাহিয়্যাতুল অজু' আদায় হয়ে যাবে।(আহসানুল ফাতওয়া ৩:৪৮১ পৃ ; রাদ্দুল মুহতার ১:৫০২ পৃ.)

'তাহিয়্যাতুল মসজিদ' সম্পর্কে কতিপয় হাদীস

তাহিয়্যাতুল মসজিদ' -এর ফযীলতঃ

হযরত যায়েদ ইবনে খালিদ জুহানী রাযি. থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ যে ব্যক্তি উত্তমরুপে অজু করে, অতঃপর দুই রাকাআত নামাজ এমনভাবে আদায় করে যে, নামাজের মধ্যে কোন ভূল করে না। অর্থাৎ খুশু -খুজুর সাথে নামাজ আদায় করে, তাহলে তার পেছনের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়। (সহীহ আবূ দাউদ, হাদীস নং ৯০৫)

মাসজিদে প্রবেশ করে বসার পূর্বে দু'রাকআত নামাজ পড়বে

দুখুলুল মসজিদ নামাজমসজিদে প্রবেশ করে বসবার পূর্বেই এ নামাজ পড়া হয় : হযরত আবু কাতাদা (রাজিঃ) থেকে বার্ণিত আছে, নবী করীম (সা.) বলেছেন, তোমাদের মধ্য থেকে যখন কোন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করবে তখন বসবার পূর্বেই দুই রাকাত নফল নামাজ পড়া উচিত। (বুখারী শরীফ, ১ম খ-, ৬৩ পৃষ্ঠা)

হযরত ওসমান (রাজি.) থেকে হাদীস বর্ণিত আছে নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে দুই রাকাত নফল নামাজ পড়বে এক নামাজ থেকে অন্য নামাজ পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তার সগীরা গুনাহ মাফ করে দেবেন। (মুসলিম শরীফ, ১ম খ-, ১২০ পৃষ্ঠা)

এই নামাজের সময়মাকরুহ সময় ছাড়া মসজিদে প্রবেশ করে এ নামাজ যে কোনো সময় পড়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

নামাজের গুরুত্ব

নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । প্রথমতঃ নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা...

Popular Posts