আওয়াবীন নামাজের ওয়াক্ত ও রাকাআত
মাগরিবের পর ইশার আগে। ২ থেকে ২০ রাক'আত নামাজ। ইহাকে আওয়াবীনের নামাজ বলে। ইহার বহু ফজিলত রহিয়াছে। তবে উত্তম হচ্ছে কমপক্ষে ৬ রাকাআত পড়া।
আওয়াবীন নামাজের নিয়তঃ
বাংলা নিয়তঃ
"আমি দুই রাকাআত আওয়াবীনের নামাজ আদায় করছি।'নোটঃ
আরবীতে কিংবা বাংলায় মুখে উচ্চারণ করা জরুরী নয়, বরং যে কোনো ভাষায় মনে মনে নিয়ত করাই যথেষ্ট।
আওয়াবীন নামাজ পড়ার নিয়ম
দুই দুই রাকাআত করে আওয়াবীনের নামাজ আদায় করা যায়। যেকোন সূরা দ্বারা এই নামাজ পড়া যায়। উভয় রাকাআতেই সূরা ফাতিহার পর অন্য সূরা মিলাতে হবে এবং আখেরী বৈঠক আত্তাহিয়্যাতু, দরুদ শরীফ ও দোয়ায়ে মাছূরা পড়ে সালাম ফিরাতে হবে।
আওয়াবীন নামাজের ফযিলত সম্পর্কে কতিপয় হাদিস
আওয়াবীনের নামাজহযরত আবু হুরায়রা (রাজি.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরিবের নামাজের পর ছয় রাকাত নফল নামাজ পড়বে, এসবের মাঝাখানে কথাবার্তা বলবে না, আল্লাহ্ তা’আলা তার ১২ বছরের নফল ইবাদাত করার ছাওয়াব দান করবেন। (১) তিরমিযী শরীফ ১ম খ- ৯৮ পৃৃষ্ঠা। (২) মিশকাত শরীফ ১ম খ- ১০৪ পৃষ্ঠা।
হযরত আম্মার বিন ইয়াসীন (রাজি.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরীবের পর ছয় রাকাত আওয়াবীনের নামাজ পড়বে, তার গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে, যদিও তার গোনাহ সাগরের ফেনাতুল্য হয়। ইবনে মাজাহ, ১ম খ-, ৮১ পৃষ্ঠা।
হযরত আয়েশা (রাজি.) থেকে বর্ণিত, নবী করীম (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি মাগরীবের পর বিশ রাকাত নফল নামাজ পড়বে আল্লাহ্ তা’আলা তার জন্য বেহেশতে একটি ঘর প্রতিষ্ঠিত করবেন অর্থাৎ সে বেহেশতে যাবে। (১) তিরমিযী শরীফ, ১ম খ-, ৯৮ পৃৃষ্ঠা। (২) মিশকাত শরীফ, ১ম খ-, ১০৪ পৃষ্ঠা।এই নামাজের সময় মাগরিবের ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পর কমপক্ষে ৬ রাকাত এবং ঊর্ধ্বে ২০ রাকাত নফল নামাজ পড়া যায়, ইহাকে সালাতুল আওয়াবীন বলে।
ভালো লাগছে আমার লহুব আপনার সাইট
উত্তরমুছুনthanks for sharing this❣️
উত্তরমুছুন