তারাবীহ নামাজের নিয়ম

তারাবীহ নামাজের নিয়ম তারাবীহ

‎(تراويح)

হল ইসলাম ধর্মের পবিত্র রমজান মাসের গুরুত্বপূর্ণ অতিরিক্ত রাতের নামাজ যেটি মুসলিমগণ রমজান মাস ব্যপী প্রতি রাতে এশার ফরজ নামাজের পর পরে থাকেন।

তারাবীহ নামাজের নিয়ত

نويت ان اصلى لله تعالى ركعتى صلوة

التراويح سنة رسول الله تعالى متوجها الى

جهة الكعبة الشريفة الله اكبر.

উচ্চারণ:

নাওয়াইতু আন উছল্লিয়া লিল্লাহি তা’আলা রকাআতাই ছলাতিত তারাবীহ সুন্নাতু রসূলিল্লাহি তা’আলা মুতাওয়াজ্জিহান ইলা জিহাতিল কা’বাতিশ শারীফাতি আল্লাহু আকবার।

অর্থ:

আমি ক্বিবলামুখী হয়ে দু’রাকাআত তারাবীহ সুন্নতে মুয়াক্কাদাহ নামাযের নিয়ত করছি। আল্লাহু আকবার।

বাংলায় নিয়াতঃ

কিবলামুখী হয়ে দু'রাকায়াত তারাবীর নামাজ এই ইমামের পিছনে আদায় করছি "আল্লাহু আকবার"।

তারাবীহ নামাজের দোয়াঃ

আরবীতে উচ্চারণঃ

সুবহানা যিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি, সুবহানা যিল ইজ্জাতি, ওয়াল আজমাতে, ওয়াল হায়বাতি,ওয়াল কুদরাতি, ওয়াল কিবরিয়ায়ি ওয়া জাবারুত। সুবহানাল মালিকিল হায়্যিল্লাযী লা ইয়ানামু ওয়ালা ইয়ামুতু আবাদান আবাদা, সুববুহুন ক্কুদ্দুসুন রাব্বুনা ওয়া রাব্বুল মালা-ইকাতি ওয়ার রূহ ।

অর্থঃ

পবিত্রতে ঘোষণা করছি তাঁর, যিনি ইহজগত, ফেরেশতা জগতের প্রভু সেই আল্লাহর মহিমা বর্ণনা করছি যিনি মহিমাময় বিরাট, ভীতিপূর্ণ, শক্তিময়, গৌরবময় এবং বভত্তর। আমি সে প্রতিপালকের গুনগান করছি, যিনি চিরঞ্জীব, যিনি কখনও নিদ্রা যান না এবং যাঁর কখনও মৃত্যু ঘটে না। পুতঃপবিত্র তিনি। তিনি আমাদের পালনকর্তা, ফেরেশতাকুল এবং আত্মাসমূহের পালনকর্তা। আল্লাহ ছাড়া কোন ইলাহ নাই, আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি, আমরা আপনার কাছে বেহেশত চাচ্ছি এবং দোযখ থেকে মুক্তি চাচ্ছি ।

তারাবীহ নামাজের মুনাজাতঃ

আরবী উচ্চারনঃ

আল্লাহুম্মা ইন্না নাসয়ালুকাল জান্নাতা ওয়া নাউযুবিকা মিনান্নারি ইয়া খালিকাল জান্নাতি ওয়ান্নারি, বিরাহমাতিকা ইয়া আজিজু, ইয়া গাফফারু, ইয়া কারিমু, ইয়া সাত্তারু, ইয়া রাহিমু, ইয়া জাব্বারু, ইয়া খালীকু, ইয়া বার। আল্লাহুম্মা আযিরনা মিনান্নারি, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু, ইয়া মুজিরু, বিরাহমাতিকা ইয়া আর হামার রাহিমীন ।

অর্থঃ

হে আল্লাহ, আপনারই সমীপে জান্নাত প্রার্থনা করছি এবং আপনারই কাছে জাহান্নাম থেকে মুক্তি চাচ্ছি। হে জান্নাত এবং জাহান্নামের সৃষ্টিকর্তা ! আপনি নিজ কৃপায়, হে প্রাক্রমশালী, হে ক্ষমাশীল, হে মহান, হে দোষ গোপনকারী, হে দয়ালু, হে সৃষ্টিকর্তা পুন্যময়, হে আশ্রয় দাতা, হে আশ্রয় দাতা, হে আশ্রয় দাতা, নিজ কৃপায় হে আল্লাহ ! পরম দয়ালু করুণাময়, আমাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচান।

তারাবীহ নামাজের ফজিলত

রাসূল (সাঃ) বলেন, "(হে আমার উম্মতগন), তোমরা জেনে রেখ আল্লাহ তোমাদের উপর রমজানের রোজা ফরজ করেছেন এবং উহার রাত্রে তারাবীহের নামাজ সুন্নাত করেছেন। অতএব, যে ব্যক্তি খালেস নিয়তে ঈমানের সাথে কেবল সোয়াবের আশায় এ মাসে দিনের বেলায় রীতিমত রোজা রাখবে এবং রাত্রিতে রীতিমত তারাবীহের নামাজ পড়বে তার বিগত সব সগীরা গুনাহ মিটিয়ে দেয়া হবে।" অতএব, এ পবিত্র মাসে অধিক নেকী সঞ্চ্য করে লওয়া উচিৎ। এ মাসের একটি ফরজ অন্য মাসের ৭০টি ফরজের সমান নেকী পাওয়া যায়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

নামাজের গুরুত্ব

নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । প্রথমতঃ নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা...

Popular Posts