হস্তমৈথুনের মারাত্মক সব ক্ষতিকর দিক দেখে নিন – সতর্ক হন !! এর কারনে হওয়া সকল ক্ষতি এবং হারাম দিক সম্পর্কে জানুন!

লাখ লাখ যুবকের উপর চালিত পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে যে, হস্তমৈথুন এমন এক সমস্যা যাতে একবার কেউ আসক্ত হয়ে পড়লে প্রপার ট্রিটমেন্ট ছাড়া এ থেকে রেহাই পাওয়ার অন্য কোনো কার্যকর উপায় থাকে না বললেই চলে। আপনি অনলাইন সার্চ করলে হস্তমৈথুন অভ্যাস পরিত্যাগের বিষয়ে ভুরি ভুরি উপদেশ বাণী পেয়ে যাবেন। যার সবগুলিই অকার্যকর। তারপরও তাদের উপদেশ বাণীর যেন কোনো শেষ নেই। কিন্তু তাদের অনেকেই বাস্তবতাটা বুঝতে পেরে কোথাও এর জন্য চিকিত্সা নেয়ার কথাটা বলে না। কেন জানেন ?? ভালো করে শুনে নিন ** তাদের কাছে এ সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো চিকিত্সা নেই ** তাই উপদেশ বাণী শোনানো ছাড়া তাদের আর কি-ই বা করার আছে। কিন্তু ঐসব চিকিত্সকদের নিকট চিকিত্সা নিতে গেলে ঐ অবস্থায় যখন একে একে সব গুলো উপদেশ বাণী ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় তখন তাদের সর্বশেষ চিকিত্সা হলো – * বিয়ে করে ফেলেন *। বুঝেন অবস্থা !!!! আর এই সময়টাতে চিকিত্সার নাম করে আপনার কাছ থেকে যা নেয়ার সেটাকিন্তু তারা ঠিকই নিয়ে নিল। অথচ তারা নিজেরাই জানত তাদের কাছে এর কোনো কার্যকর ট্রিটমেন্ট নেই। শুধু তাই নয়, চিকিত্সার ব্যর্থতা ঢাকতে অবশেষে তারা এও বলেন যে – *হস্তমৈথুন কোনো ক্ষতিকর বিষয় নয় !!!!!!* একটা বিষয় জেনে রাখা ভালো :- অনেকেই শীতপ্রধান দেশের বিশেষজ্ঞদের গবেষণালব্ধ ফলাফল আমাদের উপমহাদেশের অর্থাৎ গ্রীষ্মপ্রধান দেশের বেলায় চালাতে চান। এক্ষেত্রে অবশ্যই আমাদের বাস্তবতা উপলগ্ধি করতে হবে। আমাদের দেশের ছেলেদের ১০-১২ বছরের মধ্যেই যৌন পরিপক্কতা চলে আসার কারণে তারা অনেকেই তখন থেকেই হস্তমৈথুন করা শুরু করে এবং বিয়ের সময় অর্থাৎ বয়স ২০-৩০ বছর হওয়ার পর দেখা যায় তারা নানা প্রকার যৌন সমস্যা সৃষ্টি করে ফেলেছেন। কিন্তু শীতপ্রধান দেশগুলির বিষয়টা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ উল্টো। ঐসব দেশে ছেলেদের যৌন পরিপক্কতা আসে অনেক দেরিতে, অনেকের ১৬-১৮ বছর হয়ে যায়। তাছাড়া তারা যে কারো সাথে মেলামেশার সুযোগ পেয়ে থাকার কারণে হস্তমৈথুন ততটা করে না। তাই তারা এর জন্য ক্ষতির সম্মুখীন হয় না বললেই চলে। তাই আপনাদের অবশ্যই এ বিষয়টা বুঝতে হবে এবং তাদের ক্ষেত্রে যে থিওরি তাদের দেশের বিশেষজ্ঞরা দিয়ে থাকেন তা আমাদের দেশের ছেলেদের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করার চেষ্টা করা নিছক বোকামি ছাড়া আর কিছুই নয়। কারণ তারা যদি আমাদের দেশের ছেলেদের মত হস্তমৈথুনে আসক্ত হয়ে এটা করতে থাকত তাহলে তারাও এর কুফল গুলির সম্মুখীন হত। যারা হস্তমৈথুন করাকে ক্ষতিকর না বলে ভালো বলে থাকেন তাদের কাছে প্রশ্ন ???? সর্ব কালের সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হলো ইসলাম, যাকে বলা হয়ে থাকে *A complete code of life. * এ বিষয়ে হয়ত আপনারা সবাই আমার সাথে একমত হবেন আশা করি যদি আপনি মুসলিম হন। হস্তমৈথুন করাটা যদি মানুষের জন্য উপকারীই হত তাহলে সেই সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম ইসলামের অনেক মুফতীগণ রাসূলের হাদিসের আলোকে এটাকে কেন পাপ বলে অবহিত করলো। আশা করি বিষয়টি নিয়ে আর বেশি দূর বলার প্রয়োজন নেই। জেনে রাখুন হস্তমৈথুন অভ্যাসটা এমন কিছু মারাত্মক সমস্যার জন্ম দেয়, যা এক সময় একজন পুরুষের যৌন জীবন বিপর্যস্থ করে তুলে। এটা যুবকদের শারীরিক এবং মানুষিক উভয় সমস্যারই সৃষ্টি করে থাকে। আমাদের কাছে চিকিত্সা নিতে আসা হাজর হাজার যুবকরা নিজ মুখেই স্বীকার করেছে তাদের জীবনের অতীত কালের এ সকল অনাচারের কথা। ইসলামের দৃষ্টিতে হস্তমৈথুনের ক্ষতিকারক দিক সমুহ :- ইসলামের দৃষ্টিতে এটা হারাম । শরীয়ত অনুযায়ী যারা হস্তমৈথুন করে তারা সীমালংগনকারী শারীরিক সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পুরুষ হস্তমৈথুন করলে প্রধান যে্সব সমস্যায় ভুগতে পারে সেগুলি হলো :- পুরুষ হস্তমৈথুন করতে থাকলে সে ধীরে ধীরে নপুংসক (Impotent) হয়ে যায়। অর্থাৎ যৌন সংগম স্থাপন করতে অক্ষম হয়ে যায় । আরেকটি সমস্যা হল অকাল বীর্যপাত। ফলে স্বামী তার স্ত্রীকে সন্তুষ্ট করতে অক্ষম হয় । বৈবাহিক সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী হয় না । অকাল বীর্যপাত হলে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা কমে যায় । তখন বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ২০ মিলিয়নের কম । যার ফলে সন্তান জন্মদানে ব্যর্থতার দেখা দেয় । (যে বীর্য বের হয় সে বীর্যে শুক্রাণুর সংখ্যা হয় ৪২ কোটির মত । স্বাস্থ্যবিজ্ঞান মতে কোন পুরুষের থেকে যদি ২০ কোটির কম শুক্রাণু বের হয় তাহলে সে পুরুষ থেকে কোন সন্তান হয়না। ) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন পুরুষের যৌনাঙ্গকে দুর্বল করে দেয়। Dr.Liu বলেন – “There is a huge change in body chemistry when one masturbates excessively” হস্তমৈথুনের ফলে শরীরের অন্যান্য যেসব ক্ষতি হয় :- Nervous system, heart, digestive system, urinary system এবং আরো অন্যান্য system ক্ষতিগ্রস্ত হয় । পুরো শরীর দুর্বল হয়ে যায় এবং শরীর রোগ – বালাইয়ের যাদুঘর হয়ে যায় । মাথা ব্যথা হয় ইত্যাদি আরো অনেক সমস্যা হয় হস্তমৈথুনের কারণে। স্মরণ শক্তি কমে যায় এবং চোখেরও ক্ষতি হয় । আরেকটি সমস্যা হল সামান্য উত্তেজনায় যৌনাঙ্গ থেকে তরল পদার্থ বের হওয়া যাকে বলা হয় Leakage of semen । ফলে অনেক মুসলিম ভাই নামায পড়তে কষ্ট হয়। মহান আল্লাহ্ তা’ আলার স্মরণ থেকে মুসলিমদের দূরে রাখে হস্তমৈথুন। রসূলুল্লাহ্ ( সঃ ) বলেছেন- “যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুইপায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব । ” -(বুখারী ও মুসলিম) তাই কাউকে হস্তমৈথুন করার উপদেশ দিয়ে আপনি নিজে গুনাহ বা পাপের অংশীদার হবেন না। পারলে কেউ এতে আসক্ত হলে যথাযথ হোমিও চিকিত্সার মাধ্যমে তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনুন। কারণ হোমিওপ্যাথিই একমাত্র কার্যকর চিকিত্সা বিজ্ঞান যা কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই যুবকদের হস্তমৈথুন অভ্যাস দূরীকরণে সফলতা দেখিয়ে আসছে। ******** আধুনিক হোমিওপ্যাথি হস্তমৈথুন করলে কি লিঙ্গ সরু হয়? প্রশ্ন: আমি বেশি বেশি হস্থমৈথুন করতাম। কিন্তু ইদানিং মনে হচ্ছে আমার লিঙ্গ ছোট এবং চিকন। এ অবস্থায় আমি কি করতে পারি। তবে সাধারন অবস্থায় বেশি ছোট মনে হয়। উত্তেজিত হলে ঠিক আছে মনে হয়। কিভাবে আমি এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে পারি জানাবেন। উঃ তোমার কোন সমস্যাই নেই তো তার সমাধান কোথা থেকে থাকবে! হস্তমৈথুনের ফলে লিঙ্গ সরু বা চিকন হয় না। সাধারন অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের আকার ছোট বড় হতে পারে। সেটা পুরোপুরি জিনগত, তোমার কিচ্ছু করার নেই। যেহেতু তুমি উল্লেখ করেছ যে উত্তেজিত হলে ঠিক আছে মনে হয়, তাই আমি বলব লিঙ্গের আকার নিয়ে ভাবনা পরিত্যাগ কর। তোমার জানার জন্য বলছি যে উত্তেজিত অবস্থায় পুরুষ মানুষের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য গড়ে প্রায় ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি পরিমান হয়। তবে ব্যাক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে এই মান ৪ ইঞ্চিও হতে পারে। এখানে উল্লেখ্য যে অনুত্তেজিত অবস্থায় লিঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপর উত্তেজিত দৈর্ঘ্য কখনোই নির্ভর করেনা। আরও একটি কথা বলা প্রয়োজন যে, ব্যাক্তির শরীরের বা অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দৈর্ঘ্যের উপরেও উত্তেজিত লিঙ্গের দৈর্ঘ্য নির্ভর করেনা। লিঙ্গের গড় পরিধি প্রায় ৪.৮ ইঞ্চি মত। লিঙ্গের আকার আয়তন নিয়ে বেশি মাথা না ঘামিয়ে অন্য কাজে মন দাও। আদর করার সময় তোমার সঙ্গিনীর তৃপ্তি শুধু লিঙ্গের সাইজের উপর নির্ভর করে না, তোমার আদর করার পদ্ধতির উপর করে। আবারও বলছি লিঙ্গের দৈর্ঘ্য প্রস্থ হস্তমৈথুনের ফলে পরিবর্তিত হয় না। তবে তাই বলে অতিরিক্ত হস্তমৈথুন কখনো করবে না। তাতে একাধিক ক্ষতি সাধিত হয়। পরিমতি মাত্রায় হস্তমৈথুন কর। অনেক হস্তমৈথূন সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। সেই উদ্দেশ্যে আমরা গত কয়েকদিন বিভিন্ন স্বাস্থ বিষয়ক নিউজলেটার, বই এবং ফোরাম থেকে তথ্য সংগ্রহ করে আপনাদের জন্য উপস্থাপন করলাম। আমরা হস্তমৈথুনের বিভিন্ন দিক পয়েন্ট আকারে আলোচনা করার চেষ্টা করবো। হস্তমৈথুন্য কিঃ হস্তমৈথুন মানে যৌন পরিতোষের জন্য পুরুষের লিঙ্গ অথবা নারী তার ভগাঙ্কুর ঘর্ষণ এবং স্তন স্পর্শ করে যৌন আনন্দ উপভোগ করা। এটা একটা স্বাভাবিক উপায় নারী-পুরুষের নিজস্ব অনুভুতি এক্সপ্লোর করার জন্য। হস্তমৈথুন নিজে নিজে অথবা দুটি মানুষের (পারস্পরিক হস্তমৈথুন) মধ্যে হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানীর মতেঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানীর মতে হস্তমৈথূন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। যদিও এটি স্বাভাবিক কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ হস্তমৈথূন করাকে লজ্জার এবং অস্বস্তির বিষয় মনে করে। অনেক মানুষ মনে করেন হস্তমৈথূন করলে মাথায় টাক পড়া, মানসিক অস্বস্তি সহ যৌন মিলনের শক্তি হ্রাস পায় – যা চিকিৎসা বিজ্ঞান সমর্থন করেনা। চিকিৎসকদের মতে – • এটি নিরাপদ, সেক্সুয়াল ট্রান্সমিটেড ডিজিজ (যৌনবাহিত রোগ) এবং অনাকাঙ্খিত গর্ভধারন থেকে নিরাপদ থাকা যায়। • এটি যৌনসম্পর্কিত মানসিক দুশ্চিতা দূর করতে সাহায্য করে। • হস্তমৈথূনের মাধ্যমে নারী বা পুরুষ তার শরীর সম্পর্কে জানতে পারে। তার ভাললাগার অনুভুতি কি রকম তা জেনে যুগল শাররীক মিলনে সে অভিজ্ঞতা ব্যবাহার করে তৃপ্ত হতে পারে। • হস্তমৈথূন যেসব নারী মিলনে তৃপ্তি পায়না এবং যেসব পুরুষের দ্রুত বীর্যপাত হয় তাদের জন্য একটি কার্যকরী চিকিৎসা স্বরুপ। হস্তমৈথূনের মাধ্যমে তারা তাদের শরীরের নিয়ন্ত্রন শিখতে পারে। • হস্তমৈথূন স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় করে। • হস্তমৈথূন ঘুমের অনিয়ম থেকে মুক্তি দেয়। • মস্তিষ্ক এর নিউরোট্র্রান্সমিটার এর মুক্তি ঘটায়, যা শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য উৎসাহিত করে। • দুশ্চিন্তা মুক্ত করে। এতক্ষন আমরা হস্তমৈথূনের বিভিন্ন ভাল দিক শুনেছেন। হস্তমৈথূন এর ভাল দিক এর চেয়ে খারাপ দিক কয়েকগুন বেশি এবার এর খারাপ দিক গুলো শুনুন… ইসলামিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেঃ “হস্তমৈথূন্য ইসলাম ধর্মে ১০০ ভাগ হারাম!” হাফিজ ইবনে কাথির (রাঃ) বলেছেন ইমাম শাফী (রাঃ) সহ অনেক ইসলামীক চিন্তাবিদ এই মর্মে (আয়াত মতে) হস্তমৈথুন্য কে হারম বলেছেন “হস্তমৈথুন্য আল্লাহর নির্দেশিত ওই দুইটি (স্ত্রী এবং খরিদ করা নারী কৃতদাসের সাথে মিলন) হালাল(বৈধ) নিয়মের অর্ন্তভুক্ত নয়। তাই এটি হারাম।” একই সাথে তারা এই উপসংহারে এসেছেন, “এবং যারা বিবাহের মানে খুজে না পান তারা যেন পাপ থেকে বিরত থাকেন – আল্লাহ তার চারুতা দিয়ে তাদের বিবাহের যোগ্য সম্পদশালী না করা পর্যন্ত” আবদুল্লা বিন মাসউদ (রাদিহআল্লাহু আনহু) বোখারী শরীফে উল্লেখ করেছেন – নবী করিম (সঃ) বলেন, “ও যুবক দল, তোমাদের মাঝে যে-ই বিবাহ করেতে সামর্থবান হও তারা তা (বিয়ে) করে ফেল। কারন বিয়ে করলে তোমরা তোমাদের গোপন অঙ্গকে পাপ থেকে রক্ষা করতে পারবে। আর যারা বিয়ে করতে পারছোনা তারা তা করার জন্য দ্রুত যোগ্যতা অর্জন কর – কারন এটি তোমার রিরাংসা (lust) ভংগ করে দিবে।” ( তথ্যসূত্র) হাসান বিন আরফাহ্ মতে নবী করিম (সঃ) বলেছেন, “সাত প্রকার মানুষের দিকে আল্লাহ পাক রোজ কেয়ামতের দিন তাকাবেন না। এমনকি তাদের ক্ষমা করবেন না, তাদের জান্নাতে যাবার অনুমুতি দেবেন না। তারা হলেনঃ ১. যে ব্যাক্তি স্বমৈথুন্য/হস্তমৈথুন্য করে। ২. যে ব্যাক্তি পায়ুপথে মিলন করে। ৩. যে ব্যাক্তির সাথে অন্যকাউকে পায়ুপথে মিলন করতে দেয়। ৪. যে ব্যাক্তি সর্বদা মাতাল অবস্থায় থাকে। ৫. যে ব্যাক্তি পিতামাতাকে এমনভাবে আঘাত করে যাতে তারা সাহায্য প্রার্থনা করে (অন্যত্র বলা আছে পিতা-মাতা যদি “ওহ” শব্দ করে।)। ৬. যে ব্যাক্তি প্রতিবেশির প্রতি এমন অত্যাচার করে যাতে তারা অভিশাপ দেয়। ৭. যে ব্যাক্তি তার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সাথে অবৈধ শাররীক মিলন করে। (সুত্রঃ ইবনে কাথি্র, সংখ্যা ৫, পৃষ্ঠা ৪৫৮) অতিরিক্ত হস্তমৈথুন কি কি সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে? অনেক পুরুষ অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্য জনিত কারনে তাদের লিঙ্গে দুর্বলতা অনুভব করেন। এটার প্রধান কারন অল্প বয়সে হস্তমৈথূন্য শুরু করা এবং ভুল পদ্ধতিতে হস্তমৈথূন্য করা। যারা অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্য করেন তারা বিয়ের পর সংসার জীবনে নানান জটিলতায় ভুগে থাকেন। এমনকি অল্পবয়সে হস্তমৈথূন্যের ফলে লিঙ্গের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যহত হয় বলে লিঙ্গের আকার ছোট থেকে যেতে পারে। তাই বাবা-মার উচিৎ বয়সন্ধিকালে সন্তানকে নজরদারীতে রাখা এবং যৌন বিষয়গুলো শিক্ষার সুযোগ করে দেয়। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে আমাদের পাশ্ববর্তী দেশ ভারতে তৃতীয় শ্রেনী থেকে পাঠ্যপুস্তকে যৌন শিক্ষা বিষয়টি অন্তভুক্ত আছে।অথচ লজ্জা আর সামাজিক কারনে আমরা অনেক অন্ধকারে রয়ে গেছি আমরা। অতিরিক্ত হস্তমৈথূন্যের ফলে শক্তি হ্রাস সহ নানাবিদ শাররীক সমস্যায় ভোগেন। তার মধ্যে উল্ল্যেখযোগ্য হল: ১. শাররীক ব্যথা এবং মাথা ঘোরা। ২. যৌন ক্রিয়ায় সাথে জড়িত স্নায়তন্ত্র দুর্বল করে দেয় অথবা ঠিক মত কাজ না করার পরিস্থতি সৃষ্টি করে। ৩. শরীরের অন্য অঙ্গ যেমন হজম প্রক্রিয়া এবং প্রসাব প্রক্রিয়ায় সমস্যা সৃষ্টি করে। ৪. দৃষ্টি শক্তি দুর্বল করে দেয় এবং মাথা ব্যাথা সৃষ্টি করে। ৫. হৃদকম্পনে দ্রুততা আসে এবং অনেকে নার্ভাস ফিল করতে পারেন। ৬. ব্যক্তি কোনো কঠিন শারীরিক বা মানসিক কাজ এর অসমর্থ. তিনি সাধারণত নির্জনতায় থাকতে চেষ্টা করে এবং তার জ্ঞান বৈকল্য হয়। ৭. কেউ কেউ হয়তো তোতলানো এবং কানে কম শোনা রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। ( তথ্য সুত্র ) ৮. দ্রুত বীর্যস্থলনের প্রধান কারন অতিরিক্ত হস্তমৈথুন্য। ৯. হস্তমৈথূন পুরুষাঙ্গে ছিদ্র সৃষ্টি করতে পারে। ১০. এটি প্যারাসিমপেথিক স্নায়ু দুর্বল করে দেয়। নিউরোট্র্রান্সমিটার গ্রাস করা এবং পেশী টিস্যু এবং বীর্য নির্গম নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত করে। ১১. হস্তমৈথুন সহানুভূতিশীল স্নায়বিক ক্রিয়া উদ্দীপকের উপর আরো সংবেদনশীলতা বৃদ্ধি করে। ফলে আপনার যৌন মিলনের সময় বীর্যস্থলন নিয়ন্ত্রনের অফ্ বাটন ধ্বংস করে দেয়। ( তথ্য সুত্র: )

৫টি মন্তব্য:

  1. Thank U Sir আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ আমাকে অনেক না জানা বিষয় জানতে সাহায্য করার জন্য , আমি অনেক ভুল ধারণার মধ্যে পতিত ছিলাম এবং অনেক বাজে বিষয় নিয়ে চিন্তত ছিলাম কিন্তু আপনার এই লেখা পড়ে অনেক কিছু জানতে এবং বুজতে পারলাম এবং এই বড় ধরণের অঙ্গতা থেকে মুক্তি পেলাম

    উত্তরমুছুন
  2. thank you sir পুরো বিষয়টা ক্লিয়ার হয়ে গেলাম

    উত্তরমুছুন

Thanks for your comment

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

নামাজের গুরুত্ব

নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । প্রথমতঃ নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা...

Popular Posts