নবজাতকের গোসল

নবজাতকের নাভী শুকনোর আগে পরিপূর্ণ গোসল করানো থেকে বিরত থাকতে হবে। তবে এসময় কাপড় বা স্পঞ্জ ভিজিয়ে শিশুর শরীর মোছানো যেতে পারে। ঘর ঠান্ডা থাকলে তাপমাত্রা বাড়িয়ে নিন এবং বাথটাবে প্রায় ৯০ ডিগ্রী ফারেনহাইট তাপমাত্রার গরম পানি এমনভাবে ঢালুন যাতে পানি বাথটাবের ভেতরে এক বা দুই ইঞ্চি উঁচু থাকে। গোসলের জন্য একটি বাথটাব, কয়েকটি ধোয়ামোছার জন্য কাপড়, তুলার প্যাড, শিশুদের জন্য তৈরী সাবান, একটি তোয়ালে এবং একটি নতুন ডায়াপার সংগ্রহ করুন। শিশুর জামাকাপড় খুলে, মাথা এবং ঘাড় আপনার এক হাতের উপর রেখে ধরে ধীরে ধীরে তার শরীরের পেছনের অংশ বাথটাবে রাখুন। গোসল আরামদায়ক রাখার জন্য আলতো করে মগভর্তি হালকা গরম পানি শিশুর শরীরের উপর ঢালুন যাতে সে ঠান্ডা অনুভব না করে। প্রথমেই মনে রাখবেন বাচ্চাকে প্রথমবার পানির সংস্পর্শে আনছেন। তাই সে কিছুটা অসুবিধা বোধ করতেই পারে। অনেক নবজাতকই এ সময় কেঁদে উঠে। বাচ্চাকে তাই ধীরে ধীরে পানির সংস্পর্শে আনুন। হঠাত্ করে তার গায়ে পানি দিতে যাবেন না। কিছুক্ষণ পরেই বাচ্চা পানির সাথে মানিয়ে নিবে। তবে বেশি কান্না করলে পানি থেকে উঠিয়ে নিন নবজাতককে। শিশুর মুখমন্ডল এবং শরীর পরিস্কার করার জন্য কাপড়, তুলার প্যাড অথবা আপনার হাত ব্যবহার করতে পারন। তবে এজন্য অধিক সাবান ব্যবহার করার কোন প্রয়োজন নেই। আস্তে করে শিশুকে বাথটাব থেকে তুলে নিয়ে একটি তোয়ালে দিয়ে তার শরীরকে মোড়ান যাতে ভেজা শরীর সহজে শুকিয়ে করা যায়। সাবধান ভেজা অবস্থায় শিশুদের শরীর অনেক পিচ্ছিল হয়ে থাকে। নবজাতকের গোসলের আগে খেয়াল রাখবেন যে বাচ্চার নাড়ি যদি কাঁচা থাকে তবে তাতে পানি না লাগানোই ভালো হবে। পানি লাগলে অনেক সময় সেখানে ঘা সৃষ্টি হতে পারে। তাই নবজাতকের নাড়ি শুকিয়ে পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত নবজাতককে গোসল না দিলেও ক্ষতি নেই। এমন ক্ষেত্রে নবজাতকের শরীর সাবধানে স্পঞ্জ করে দেওয়া যেতে পারে। একবার নাড়ি শুকিয়ে গেলে তারপর বাচ্চাকে গোসল দেওয়া যাবে। নবজাতককে গরমের সময় সপ্তাহে ২ থেকে ৩ বার গোসল করানো যেতে পারে যেন বাচ্চা সুস্থ ও ভালো থাকে। বাচ্চাকে গোসল করানোর জন্য কুসুম গরম পানি ব্যবহার করতে হবে। কখনোই স্বাভাবিক পানি ব্যবহার করা যাবে না। এতে বাচ্চার ঠাণ্ডা লেগে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মনে রাখবেন, যে পাত্রে গোসল করাবেন সে পাত্রটি প্রথমে ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পানি দিয়ে পূর্ণ করে নিন। এবার শরীরে পানি দিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে গোসল করান। চাইলে নবজাতকের উপযোগী কোনো সাবান ব্যবহার করতে পারেন, বাচ্চার শরীরে জন্মের সময়ের যে ময়লা থাকবে তা পরিষ্কার করার জন্য। গোসলের পরে বাচ্চাকে সাথে সাথে নরম ও মোটা তোয়ালে দিয়ে জড়িয়ে নিয়ে মোলায়েমভাবে বাচ্চার শরীর একদম শুকনো করে মুছে ফেলতে হবে যেন পানি লেগে থেকে বাচ্চার ঠাণ্ডা না লাগে। গোসলের সময় খেয়াল রাখবেন যেন বাচ্চার কানে ও নাকে পানি না যায়। কানে পানি গেলে পরবর্তীতে কান পেকে গিয়ে বাচ্চার কষ্ট হবে। এ ছাড়া নাকে পানি গেলে বাচ্চার শ্বাসের সমস্যা হতে পারে। তাই গোসলের সময় যথেষ্ট সতর্ক থাকবেন। অনেকে মিলে হৈচৈ না করে যে কোনো একজন গোসল করানোর দায়িত্ব পালন করুন শিশুর শৌচকার্যজনিত দুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শিশুকে একটি পরিস্কার ডায়াপার পরিয়ে দিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

Thanks for your comment

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

নামাজের গুরুত্ব

নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । প্রথমতঃ নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা...

Popular Posts