নামাজের গুরুত্ব


নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে ।

প্রথমতঃ

নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা, নামাযের মধ্যে সব প্রত্যঙ্গের উপর পুরো নিয়ন্ত্রণ থাকে । অপরাপর এবাদতের মধ্যে পার্থিব কাজও হয়ে থাকে। হজ্বের মধ্যে ব্যবসা, রোযার মধ্যে পার্থিব কাজ কর্মও হয়। অতএব, নামাযের মধ্যে এখলাছ বেশী। তাইতো ইরশাদ হয়েছে-

উচ্চারণঃ ইন্নাস্‌ সালাতা তান্‌হা আনিল ফাহ্‌শায়ে ওআল মুনকার।

অর্থাৎ _ নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল এবং গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে।

দ্বিতীয়তঃ

নামায সমগ্র জাহেরী এবং বাতেনী অঙ্গ প্রত্যঙ্গের দ্বারা আদায় করা হয়। নামায হচ্ছে প্রত্যেক অঙ্গ প্রত্যেঙ্গের এবাদত।

তৃতীয়তঃ

নামায সকল ফিরিস্তার এবাদতের সমন্বয়। কোন কোন ফিরিস্তা রুকুর মধ্যে , কোন কোন ফিরিস্তা কিয়ামের মধ্যে আবার কোন কোন ফিরিস্তা সিজদার মধ্যে রয়েছেন।

চতুর্থতঃ

নামায আল্লাহতা'লার সকল মাখ্‌লুকের এবাদতের সমন্বয়। গাছ দন্ডায়মান অবস্থায় আছে। চতুস্পদ জন্তুসমূহ রুকু অবস্থায় , কীট পতঙ্গ সিজদারত অবস্থায়,বেঙ ইত্যাদি বৈঠকরত অবস্থায় । অতএব , নামায আদায়কারী ব্যাক্তির মধ্যে ফিরিস্তা এবং সমগ্র সৃষ্টিকুলের এবাদতের সমন্বয় ঘটেছে।

পঞ্চমতঃ

নামায সকলের উপর ফরজ । যাকাত এবং হজ্ব গরীবের উওপর ফরজ নয় এবং রোযা মুসাফিরের উপর ফরজ নয়। অতএব, নামায সর্ব শ্রেণীর লোকের এবাদত

ষষ্ঠতঃ

নামায দৈনন্দিন আদায় করা হয় । রোযা এবং যাকাত বৎসরে একবার এবং হজ্ব জীবনে একবার আদায় করা হয়।

সপ্তমতঃ

নামায মানুষের জীবনকে সর্বাঙ্গীন সুন্দর করে। নামাযী ব্যক্তির শরীর ও কাপড় সব সময় পবিত্র রাকা প্রয়োজন এবং দিবারাত্রি সব সময় নামাযের চিন্তা থাকতে হয়। অতএব, নামায আদায়কারী প্রত্যেক সময় এবাদতের মধ্যে থাকে; এবাদতের চিন্তাও এবাদত।

নামায পাঁচ ওয়াক্ত এ জন্য যে, হুজুরে পাক (স.)-এর মে'রাজের মধ্যে প্রথম পঞ্চাশ ওয়াক্ত নামায ফরজ হয়েছিল । এর মধ্যে পয়ঁতাল্লিশ ওয়াক্ত নামায মাফ করে দেয়া হয়েছ ।

বৈশিষ্ট্যযুক্ত পোস্ট

নামাজের গুরুত্ব

নামায সব এবাদতের মধ্যে শ্রেষ্ঠ এবাদত হওয়ার পেছনে অনেক গুলো কারন রয়েছে । প্রথমতঃ নামাযরত অবস্থায় কোন পার্থিব কাজ করা যায় না । কেননা...

Popular Posts